খবরাখবর

মুফতী জামালুদ্দীন সাহেবের ইন্তিকালে হযরত ফকীহুল মিল্লাত (দা.বা.)

তিনি আমাদের মাঝে সর্বাধিক ইলমের অধিকারী ছিলেন

মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ বসুন্ধরা ঢাকার শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালক প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন হযরত মাওলানা মুফতী জামালুদ্দীন সাহেবের ইন্তিকালোত্তর এক প্রতিক্রিয়ায় মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ বসুন্ধরার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচলক এ দেশের শীর্ষ মুরব্বি ফক্বীহুল মিল্লাত মুফতী আব্দুর রহমান (দা.বা.) বলেন, মুফতী জামালুদ্দীন আমার অত্যন্ত ¯েœহভাজন এবং পুত্রপ্রতিম ছিলেন। দীর্ঘ ২২ বছর আমাদের সাথে থেকে দ্বীনি বিভিন্ন খিদমাত আঞ্জাম দিয়েছেন। তাঁর জ্ঞানের গভীরতা সম্পর্কে বলতে গেলে তিনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী ছিলেন। তাকওয়া, পরহেজগারী, জুহুদ এবং গাম্ভীর্যতায় ছিলেন অতুলনীয়। আল্লাহর হুকুম ছিল, অল্প বয়সেই তিনি আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) দুনিয়াবীভাবে তাঁর বিদায়ে মর্মব্যথা প্রকাশের ভাষা আমাদের নেই। আমাদের কাজ হলো দু’আ করা। আমরা দু’আ করছি, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের উচ্চাসনে স্থান দেন, তাঁর পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, ছাত্র, ভক্ত ও আমাদেরকে সবরের তাওফীক দান করেন। আমীন
উল্লেখ্য, মাওলানা মুফতী জামালুদ্দীন সাহেব গত ২০ জুন ১৪ জুমুআর সময় ইন্তিকাল করেন।

চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনএর ইন্তেজামিয়া অধিবেশনে মুফ্তী আমিনীর জন্য বিশেষ দোয়া

চট্টগ্রাম থেকে- মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-মাসরূর ০১/০১/২০১৩

ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ এর তত্বাবধানে আগামী ৬, ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী তিনদিন ব্যাপী চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য ২৮তম আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন এর সার্বিক ইন্তেজাম উপলক্ষে এক অধিবেশন গত ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৪ ঘটিকায় সংস্থার প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রাম শহরস্ত দামপাড়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্থার সেক্রেটারী জেনারেল ফক্বিহুল মিল্লাত শাহ্ মুফ্তী আব্দুররহমান সাহেব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে সংস্থার অতীত কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাসহ দিক-নির্দেশনা মূলক বক্তব্য পেশ করেন সংস্থার সহসভাপতি জামিয়া পটিয়ার প্রধান পরিচালক হযরত আল্লামা মুফ্তী আব্দুল হালীম বোখারী সাহেব, সহসভাপতি দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী সাহেব, আব্দুল্লাহ আল মাসরুর ফরিদপুরী, হাজী এনামুলহক, হাজী মেহেদী সাহেব, মাও: জয়নুল আবেদীন, হাজী আবু হানিফ প্রমূখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা লোকমান হাকীম মুহতামিম মোজাহেরুল উলুম মাদ্রাসা, মুফ্তী এনামুলহক কাসেমী, মাও: রুহুল আমিন হায়দার, মুফ্তী শামসুদ্দিন জিয়া, মাও: আমিনুলহক, মাও: কলিমুল্লাহ, মাও: মুছা, মুফ্তী আব্দুলকাদের, মাও: আমানুল্লাহ, মাও: আব্দুলআজিজ, হাজ্বী ইসহাক, মাও: আব্দুলজলীল, মাও: শামসুলআলম, মাও: জাকেরুল্লাহ নিয়াজী, মাও: আব্দুররহমান, মাও: এমরান, মাও: আনোয়ার, মুফ্তী ওসমান, মাও: তৈয়ব, মাও: আবুতাহের নদভী, মাও: মুহাম্মদ তাহের, মাও: এনায়েতুল্লাহ, মাও: আবুতাহের আরবী, মাও: মুফ্তী ইউসুফ, মাও: আব্দুলমতিন বোখারী, মাও: আব্দুররহিম, মাও: লোকমান, মাও: নুরুলহক, মাও: শামসুলহুদা, মাও: আক্তার, মাও: হাবিবুল্লাহ, মাও: মোহাম্মদ হোছাইন, হাফেজ মাও: আবুবকর, মো: আবুইউছুফ, আব্দুল মুমিন, আব্দুল মতিন, মাও: ইউসুফ, মুফ্তী আব্দুল কাদের, মাও: আব্দুর রহমান, মাও: নাজিমুদ্দীন, মাও: গিয়াসউদ্দীন, হাফেজ মিজান, ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ, মো: ইলিয়াছ, মাও: এনায়েতুল্লাহ, মাও: হারুন, মাও: অলিউল্লাহ, মাও: জামালুদ্দীনসহ চট্টগ্রামের সকল কওমী মাদ্রাসার মুহতামিম ও সংস্থার সদস্যগণ এবং কক্সবাজার জেলার প্রতিনিধি মাও: এবাদুল্লাহ, মাও: মুসলিম, মাও: হোসাইন, মাও: আবুল কাসেম, মাও: আনোয়ার প্রমূখ ।

তিন শতাধিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সংস্থার সহসভাপতি জামিয়া পটিয়ার প্রধান পরিচালক বলেন, ইসলামী সম্মেলন সংস্থার তত্বাবধানে আগামী ৬,৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ইং চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন মহান আল্লাহ তা’আলা কবুল করেছেন। যার প্রমাণ, এটা ২৮বছর যাবৎ একইভাবে- রাসুল (সা:) এর রাসূল (সা.) এর সুন্নাতের উপর অটল অবিচল থেকেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সমগ্র দেশের প্রায় সকল এলাকায় এর শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লামা সুলতান যওক নদভী বলেন এ সম্মেলন এর মাধ্যমেই মানুষ হক্ব বাতিলের পার্থক্য বুঝেছেন, এটা আমাদের মুরব্বীদের রেখে যাওয়া আমানত, তিনি মুফ্তী মরহুম ফজলুলহক আমিনীর স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, ইসলামী জগতের সাহসী মহাপুরুষ চলে গেছেন। এভাবে সকলে চলে যাবেন তিনি মুফতী আমিনীর জন্য সকলের প্রতি দোয়ার আবেদন করেন। সভাপতির ভাষণে ফক্বিহুল মিল্লাত শাহ্ মুফ্তী আব্দুররহমান সাহেব বলেন, ইসলামী সম্মেলন সংস্থার তত্বাবধানে আগামী ৬,৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন ও দেশের বড় বড় শহরে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনসমূহ দেশ ও জাতির জন্য হক্ব ও হক্কানীয়তের নমুনা। এখানে সুন্নত মুতাবেক সম্মেলন চলে, তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মেলনে অংশ গ্রহণের আহবান জানান এবং সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে সফরের তারিখ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন এটি শজ্রায়ে ত্বইয়্যেবার মত তার শাখা-প্রশাখা সারা দেশে বিস্তার লাভ করেছে। তিনি মাসব্যাপী দেশের বড় বড় জেলাশহরসমূহে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলন এর তারিখসমূহ ঘোষণা করেন।

২০১৩ইং এর মাসব্যাপী দেশের বড় বড় জেলা শহরে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার তত্বাবধানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনসমূহ আগামী ২৪ ও ২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফেনী, ২৭জানুয়ারী রবিবার পাবনা, ২৮জানুয়ারী সোমবার সিরাজগঞ্জ, ২৯জানুয়ারী মঙ্গলবার দিনাজপুর, ৩০জানুয়ারী বুধবার রংপুর, ১লা ফেব্রুয়ারী হোমনা-কুমিল্লা, ২রা ফেব্রুয়ারী শনিবার ঢাকা জামিয়াতুল আবরার, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারী রবি ও সোমবার সিলেট, ৬, ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম, ১০ফেব্রুয়ারী রবিবার বি-বাড়িয়া, ১১ফেব্রুয়ারী সোমবার ঢাকা লালবাগ, ১২ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার ফরিদপুর, ১৩, ১৪ফেব্রুয়ারী বুধ ও বৃহস্পতিবার কক্সবাজার, ১৫, ১৬ফেব্রুয়ারী শুক্র ও শনিবার নোয়াখালী অনুষ্ঠিত হবে ইন্শা আল্লাহ।

পরিশেষে মুফ্তী ফজলুল হক আমিনীর ইন্তেকালে সমবেদনা প্রকাশ ও বিশেষ দোয়া, দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করেন। মুনাজাত পরিচালনা করেন জামিয়া দারুল মা’আরিফ এর মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভী।

জামিয়া মাদানিয়ার বার্ষিক সভায় বক্তাগণ

যুগের এই ক্রান্তিলগ্নে মুসলমানদের একমাত্র অবলম্বন সুন্নাহর অনুসরণ

জামিয়া মাদানিয়া থেকে মাও: ওয়ালীউল্লাহ

ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জামিয়া মাদানিয়া চট্টগ্রাম, শুলকবহর মাদ্রাসার ২দিনব্যাপী বার্ষিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ফক্বীহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান (দামাত বারাকাতুহুম) বলেন যুগের এই দুঃসময়ে মুসলমানদের একমাত্র অবলম্বন হল রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক আনীত সুন্নাহর পূর্ণাঙ্গ অুনসরণ ও বেশী বেশী করে আল্লাহর নিকট দু’আ করা। দু’আ হলো মুমিনের প্রধান হাতিয়ার। দু’আ-এর মাধ্যমে আমাদের জীবনের যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব। অবশ্যই দু’আকারীকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নির্দেশিত পন্থায় দু’আ করতে হবে।

যুগের এই ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সুন্নাতের অনুসরণ করতে হবে, এর বিকল্প আর কোনো এমন মাধ্যম নেই যা যুগের এই ক্রান্তিলগ্নে বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এদেশে সঠিক ইসলামী শিক্ষার একমাত্র ধারকবাহক কওমী মাদ্রাসাতেই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সুন্নাতের অনুসরণে পুর্ণাঙ্গ দ্বীনের শিক্ষা দেওয়া হয়। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সুন্নাত থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করা এবং এর প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য বিশ্বব্যাপী বিধর্মী অপশক্তিগুলো প্রতিনিয়ত তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করছে রাসূল (সা:) এর সুন্নাতের অপব্যাখ্যা ও নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বিভিন্ন ধরণের কার্টুন-ভিডিও ইত্যাদি নিমার্ণ করার কাজে। এ ব্যাপারে মুসলমানদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন এবং সুন্নাত বিরোধী যত প্রোপাগান্ডা চলবে ততবেশী  সুন্নাতের উপর নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে মুসলমানদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান পরিচালক আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বোখারী সাহেব পবিত্র কুরআন মজিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন- “তোমরা নিজেদের ক্বলবকে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবে, আমার কাছে আসার সময় পরিষ্কার ক্বলব নিয়ে আসতে হবে, না হয় ছেলে সন্তান ও ধন সম্পদ কোন কাজে আসবে না।” কিন্তু নফ্স ও শয়তান চায় মানুষের অন্তরে সদা কুফর, শিরিক, হাসদ, হিংসা, দুশমনি, বড়ত্ব, রিয়া ইত্যাদি ব্যাধিতে আক্রান্ত করতে। কিন্তু যে ক্বলব এই সব ময়লা মুক্ত ও পূত-পবিত্র হবে তা আরশের চেয়ে ও শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হবে। তাই ইবাদত করার পূর্বে আমাদের ক্বলবকে পরিষ্কার করতে হবে। ক্বলব পরিষ্কার রাখার উপায় হলো স্বীয় নফ্সকে দমন করে রাখা।

আল্লামা সুলতান যওক্ব নদভী সাহেব বলেন- সঠিক নির্ভূল ইসলামী শিক্ষা ও আদর্শ প্রচার প্রসারে বিশ্বব্যাপী কওমী তথা দেওবন্দী শিক্ষা ও শিক্ষানীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আজ একটি স্বীকৃত বাস্তবতা। সঠিক ইসলামী শিক্ষার প্রচার ঘটলেই সঠিক দ্বীন মানুষের কাছে পৌঁছবে। মুসলিম সমাজ সঠিক দ্বীনের উপর অটল-অবিচল থাকলে বিশ্ব জুড়ে অশান্তি নামের কিছুই থাকবে না। আর সঠিক দ্বীনের উপর অটল থাকার একমাত্র উপায় হল জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূল (সা:) এর সুন্নাতের অনুসরণ করা।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন হযরত মাওলানা এমদাদুল্লাহ নানুপুরী, আল্লামা জুনাইদ আল-হাবীব ঢাকা, আল্লামা জুবাইর আহমদ আনসারী, বি বাড়িয়া, আল্লামা খুরশিদ আলম কাসেমী, আল্লামা আব্দুলবাসেত সিরাজী, হযরত মাওলানা আব্দুসসালাম, জিরি মাদ্রাসা প্রমুখ।

পবিত্র হারাম শরীফের ইমাম

শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ সুবাইলের ইন্তিকাল

পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফের প্রবীণ ইমাম ও খতীব এবং পবিত্র হারমাইন শরীফাইন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ সুবাইল গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ইং ইন্তিকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ইন্তিকালের সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। গোটা মুসলিম উম্মাহর খুবই শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। বাইতুল্লাহ শরীফের ইমাম ও খতীব হিসেবে তিনিই সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সফর করে ছিলেন। জামিয়া পটিয়ার তৎকালীন মহাপরিচালক হযরত মাওলানা আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইউনুস (রহ.) ও হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত দামাতবারাকাতুহুম এর একান্ত প্রচেষ্টায় তিনি জামিয়া পটিয়ায় আগমন করেন।

তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম)। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের আলেম উলামাদের প্রতি মরহুম খতীবের অগাধ ভালবাসা ছিল। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত সাহেবের সহধর্মিণীর ইন্তিকাল ও দাফন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত ৪ঠা জিলক্বদ ১৪৩৩ হিজরী মোতাবেক ২১ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার ভোর ৪টায় হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত দামাত বরকাতুহুমের প্রিয় সহধর্মিণী ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ধর্মীয় দিক থেকে তাঁর জীবন ছিল অত্যন্ত বর্ণাঢ্য। শরয়ী পর্দার ব্যাপারে তাঁর কঠোরতা সর্বমহলে ছিল স্বীকৃত। সদকা খয়রাতের ক্ষেত্রে তাঁর হাত ছিল সুদূর প্রসারিত। আত্মীয় অনাত্মীয়, পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে তাঁর আচরণ ছিল ঈর্ষনীয়। ফলে তাঁর ইন্তিকালের পর শতশত নারী তাঁকে এক নজর দেখার জন্য পর্দাসহকারে দিকভ্রান্তের মত ছুটে আসে। তাঁর ঐকান্তিক নিষ্টা ও তরবিয়াতের ফসল, তাঁর দুটো সন্তানই হাফেজে কুরআন, আলেমে দ্বীন, মুফতী ও দ্বীনের একনিষ্ট খাদেম। বড় ছেলে মুফতী আরশাদ রহমানী হযরত ওয়ালা হারদূয়ী (রহ.) এর সুযোগ্য খলীফা। দেশের বৃহত্তম দ্বীনি এদারা বগুড়া জামীল মাদরাসার প্রধান নির্বাহী, মরকযুল ফিকরিল ইসলামী বসুন্ধরার কার্যনির্বাহী, মাসিক আল-আবরারের প্রধান সম্পাদক, জামিয়াতুল আবরার বাংলাদেশ ঢাকা, জামিয়া মাদানিয়া চট্টগ্রামের সুযোগ্য শায়খুল হাদীস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাঁর ছোট ছেলে মুফতী শাহেদ রহমানী সেন্টার ফর ইসলামিক ইকোনমিক্স বাংলাদেশের পরিচালক, জামিয়াতুল আবরার বাংলাদেশ ঢাকা, জামিয়া ইসলামিয়া মাইজদির সিনিয়র মুহাদ্দেস ও মুফতী।
হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত দামাত বরকাতুহুমের দেশ ব্যাপী বহুবিদ দ্বীনি খিদমাতের পেছনে উল্লেখযোগ্য প্রেরণার উৎস এ মহীয়সী নারী। তাঁর বিশেষ আগ্রহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রহমানিয়া মাদরাসা কমপ্লেক্স ইমামনগর। এটি এলাকার আদর্শ একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। উক্ত প্রতিষ্ঠানের পাশে অবস্থিত মহল্লার কবরস্থানে  তাঁকে দাফন করা হয়।
দাফন প্রক্রিয়া যেভাবে সম্পন্ন হয় :
যাদের উত্তম ও উৎকৃষ্ট আদর্শে উজ্জীবিত মুসলিম রমনীরা, তাদের অন্যতম অগ্রপথিক নবী পরিবারের পূতপবিত্র উম্মুহাতুল মুমিনীন ও মহানবীর কলিজার টুকরা মেয়েদের কাফেলা।  উক্ত কাফেলার শীর্ষে হযরত ফাতেমা (রা.)  তিনি তাঁর ইন্তিকাল পূর্ব সময়ে প্রিয় স্বামী হযরত আলী রা.কে বিশেষ কয়টি অসিয়ত করেছিলেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১. আমার ইন্তিকালের খবর গাইরে মাহরামদের যেন জানানো না হয়। ২. ইন্তিকালের পরে আমার দাফন কার্য সম্পাদনে যেন বিলম্ব করা না হয়। কেননা আমার জীবদ্দশায় আমার পোশাকের আঁচলে কোনো গাইরে মাহরামের নজর কখনও পড়েনি মৃত্যুর পরেও আমার কাফনের উপর কোনো গাইরে মাহরামের নজর যেন না পড়ে।
ঠিক তেমনি এক দৃশ্য ১৪শবছর পরেও এই মহীয়সী নারীর ইন্তিকালে অবলোকন করা গেছে। তাঁর ইন্তিকালের কোনো প্রকার এলান করা হয়নি। বিলম্ব করা হয়নি জানাযা ও দাফনকার্য সম্পাদনে। এই মহিয়সী নারী তাঁর জীবদ্দশায় পর্দা পালনে যেভাবে কঠোর ছিলেন, ইন্তিকালের পর জানাযা ও দাফন কার্যও কঠোর পর্দাব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।  লাশ রাখা হয় বাড়ীর আঙ্গিনায় যেখানে  কোনো গাইরে মাহরাম পুরুষের যাতায়াতের সুযোগ ছিলনা। বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে স্থায়ী নিবাস কবর পর্যন্ত আড়াল করা হয় মজবুত পর্দার বেষ্টনী দিয়ে। লাশ নিয়ে যাওয়া থেকে দাফন কার্য সম্পাদন পর্যন্ত ছিল সেই সোনালী যুগের এক অভূতপূর্ব ও অবিশ্বাষ্য দৃশ্য। যা পুরো মুসলিম সমাজের নর-নারীকে স্মরন করিয়ে দেয় মৃত্যুর আগে ও পরে পর্দার অনিবার্যতাকে। আল্লাহ তা’আলা মরহুমাকে জান্নাতুল ফেরদাউসে সুউচ্চ মকাম দান করুন।
ঈসালে সওয়াব ও সমবেদনা জ্ঞাপন :
মরহুমার রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশ্ববিখ্যাত দারুল উলূম দেওবন্দসহ দেশ বিদেশের বহু স্থানে খতমে কুরআন ও খতমে তাহলীল পড়ে দু’আ করা হয়।
হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত দামাত বারাকাতুহুম ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন দারুল উলূম দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসেম নূমানী সাহেব, আওলাদে রাসূল সৈয়দ আরশাদ মাদানী, ভারত, সৈয়দ আব্দুল মজীদ নদীম, পাকিস্তান, শায়খুল ইসলাম আল্লামা তকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুমসহ দেশ বিদেশে বহু শীর্ষ উলামা মাশায়েখগণ।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ :
হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত দামাত বারাকাতুহুম এক বিবৃতিতে মরহুমার ইন্তিকালে যারা যেভাবে দু’আ করেছেন, সমবেদনা প্রকাশ করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম)-এর পবিত্র উমরা পালন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন

গত ১৮ জুন ২০১২ইং মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনার পর হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম) নিজের ওপর ভর করে কিছুই করতে পারছিলেন না। পায়ে ভীষণ আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে দীর্ঘ সফর তো দূরের কথা, হাঁটতে-চলতে এমনকি দাঁড়াতেও অক্ষম হয়ে পড়েন। দেখতে দেখতে আগমন ঘটল পবিত্র মাহে রমাজানের। চতুর্দিকে গুঞ্জন ছিল হুজুর এ বছর ওমরা পালন করতে পারবেন কি না! ডাক্তারগণও দীর্ঘ সফরের কোনো প্রকার অনুমতি দিচ্ছিলেন না। কিন্তু যিনি প্রত্যেক রমাজানেই আল্লাহর ঘর পবিত্র মক্কাতুল মুকাররামায় হাজিরা দিয়ে থাকেন, মহনবী (সা.)-এর রওজায়ে পাকে গিয়ে নবী (সা.)-এর প্রতি সালাম পৌঁছিয়ে থাকেন, শেষ দশ দিন যিনি নববী মসজিদের মুসল্লী, মুতাকিফ এবং নবীজির মেহমান হয়ে থাকেন, তিনিই জানেন এবারের রমাজানের দিনগুলোতে তাঁর অন্তরে কিরূপ ঝড়ঝাপ্টা বয়ে যাচ্ছিল। আল্লাহ পাকেরই কারিশমা ২০ রমাজান থেকে শোনা যাচ্ছিল হুজুর এবারও পবিত্র উমরা পালনে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেও মক্কা শরীফ সফর করবেন। এই মহান ব্যক্তি এহেন মা’যুর অবস্থায় আল্লাহর অপার রহমতে ২৩ রমাজান প্রাণপ্রিয় মক্কা নগরীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। উমরা পালন শেষে ২৮ রমাজান স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। এই সফরে তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন মুফতী এনামুল হক্ব কাসেমী সাহেব।

হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম)-এর পরিচালনাধীন মাদরাসাসমূহের ভর্তিকার্যক্রম সম্পন্ন

এ দেশের শীর্ষ মুরুব্বী ফক্বীহুল মিল্লাত হযরত মুফতী আব্দুর রহমান (দামাত বারাকাতুহুম) কর্তৃক পরিচালিত মাদরাসাসমূহের ভর্তির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক মাদরাসার শিক্ষাবিভাগীয় রিপোর্ট অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রমের কিছু বিবরণ নি¤েœ প্রদত্ত হলো।
জামিল মাদরাসা বগুড়া :
বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিদ্যাপীঠ জামি’আ ইসলামিয়া কাসেমুল উলূম (জামিল মাদরাসা) বগুড়া। এটি বাংলাদেশের একটি কেন্দ্রীয় মাদরাসা হিসেবেও খ্যাত। এ দেশের সর্ববৃহৎ কওমী বোর্ডসমূহের অন্যতম “তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়্যা”-এর কেন্দ্রীয় অফিস অত্র মাদরাসাতেই প্রতিষ্ঠিত। এখানে নাজেরা বিভাগ, হেফজ বিভাগ, কিতাব বিভাগে প্রাথমিক থেকে আরম্ভ করে দাওরায়ে হাদীস এবং উচ্চশিক্ষা-ইফতা বিভাগ, তাফসীর বিভাগ, তাজবীদ বিভাগ ও আরবী সাহিত্য বিভাগ ইত্যাদিতে সুচারুরূপে পাঠ দান করা হয়। এবার ১৪৩৩-৩৪ হিজরী শিক্ষা বর্ষে অত্র জামেয়ায় তিন হাজারের মতো ছাত্র ভর্তি হয়েছে বলে শিক্ষা বিভাগীয় রিপোর্টে জানা গেছে।
মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ :
“মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ বসুন্ধরা, ঢাকা” এ দেশের এক অনন্য উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অত্র মারকাযে মিশকাত, দাওরা এবং উচ্চশিক্ষা-ইফতা বিভাগ, হাদীস বিভাগ, তাফসীর বিভাগ এবং তাজবীদ বিভাগে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত জামিয়া থেকে সনদপ্রাপ্ত উস্তাদগণের অধীনে উচ্চতর গবেষণার সুযোগ রয়েছে। বর্তমান শিক্ষাবর্ষে অত্র মারকাযে প্রায় সাড়ে সাত শ’র মতো ছাত্র ভর্তি করা হয়েছে বলে বিভাগীয় রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়াও হেফজ বিভাগে ৫০ জনের মতো ছাত্র ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেড় হাজারের মতো ছাত্রের মধ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাইপূর্বক সর্বোচ্চ যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতেই ছাত্রদের ভর্তি করা হয়।
সেন্টার ফর ইসলামিক ইকোনমিক্স বাংলাদেশ :
বিশ্বব্যাপী সুদভিত্তিক অর্থনীতির সয়লাবে মানবতা যখন তলিয়ে যেতে লাগল এক অন্ধকারাচ্ছান্ন অনিশ্চিত গন্তব্যের অতল গহবরে, পুঁজিপতিদের পুঁজির শোষণে আর্তমানবতার গলগ-ের পানি যখন শুকিয়ে যেতেই আরম্ভ করল তখন মুসলিম বিশ্বের ইসলামিক স্কলাররা নতুন করে শোষণহীন, সুসম ইসলামী অর্থব্যবস্থার কথা ভাবতে আরম্ভ করল। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে ইসলামী অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নামে গড়ে উঠল কতিপয় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তখনও উলামায়ে কেরামের সঠিক অভিভাবকত্ব না থাকায় পুরোপুরি ইসলামিক ফাইন্যান্স ও অর্থব্যবস্থা চালু করতে প্রতিষ্ঠিানগুলো বলতে গেলে শুধু ব্যর্থই হচ্ছিল না বরং রীতিমতো যে সুদ থেকে পরিত্রাণের জন্য এতসব আয়োজন স্বয়ং সে সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা থেকে পৃথক করে নিরেট ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালু করবে এরূপ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কর্মপন্থাও তৈরি করতে পারছিলেন না তাঁরা। তৎকালীন দ্বীনের কর্ণধারগণ তাঁদের এহেন ব্যর্থতা দেখে আধুনিক যুগের পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিবেচনায়  ইসলামী অর্থব্যবস্থার একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ রূপরেখা তৈরিতে মনোনিবেশ করলেন। উলামায়ে কেরামের দীর্ঘ গবেষণা ও আলোচনা-পর্যালোচনার ফলশ্রুতিতে এমন বেশ কিছু তত্ত্ব উপাত্ত সংগৃহীত হয়, যা দ্বারা মোটামোটি একটি রূপরেখা দাঁড় করা যায়। সে ভিত্তিতে পাকিস্তানে হযরত মাওলানা তকী উসমানী সাহেব (দামাত বারাকাতুহুম) শুধু ইসলামী অর্থনীতি গবেষণাকেন্দ্র নামে একটি অনন্য উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। খুব কম সময়ে এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রচলিত ইসলামী আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামী অর্থনৈতিক রূপরেখা প্রদানে সক্ষম হয়। বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকত্ব থেকে উপকৃত হচ্ছে দুনিয়ার বহু আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
নিকট অতীতেও বাংলাদেশে এরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা ধারা লালিত হয়নি কারো অন্তরে। হয়তো অন্তরের মণিকোঠায় এরূপ চিন্তাধারা জাগ্রত থাকলেও বাস্তবায়িত করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। আল্লাহ তা’আলার অশেষ শোকর বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বী ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম) এহেন মহৎ চিন্তাচেতনা নিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশে ২০০৪ইং সালে তাখাসুস ফিল ইকতিসাদিল ইসলামী নামে পৃথক একটি উচ্চতর ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা বিভাগের গোড়াপত্তন করেন। অত্র বিভাগের ক্রমবিকাশ ধারায় হযরত ফকীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম)-এর একক উদ্যোগে “সেন্টার ফর ইসলামিক ইকোনমিক্স” নামে উচ্চতর ইসলামী অর্থনীতি গবেষণার এই স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানটি গত ২০০৯ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে দু’বছর মেয়াদে ৬ সেমিস্টারে ইসলামী অর্থনীতির উপর উচ্চতর গবেষণার সুযোগ রাখা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ২৫ জনের মতো ছাত্রকে ভর্তি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
শুলকবহর মাদ্রাসা চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র শুলকবহর এলাকায় অবস্থিত কাশেফুল উলূম “শুলক বহর মাদ্রাসা” দেশের একটি নির্ভরযোগ্য ও মকবূল মাদরাসা। অত্র মাদরাসায় নাজেরা বিভাগ, হেফজ বিভাগ, কিতাব বিভাগে প্রাথমিক থেকে আরম্ভ করে দাওরায়ে হাদীস এবং উচ্চশিক্ষায় ইফতা এবং তাজবীদ বিভাগ রয়েছে। আবার কিতাব বিভাগে মুতাফাররাকা নামে একটি বিশেষ বিভাগও চালু রয়েছে। অত্র মাদরাসার সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় রিপোর্ট অনুযায়ী পনের শ’র মতো ছাত্র বর্তমান শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করা হয়েছে।
জামি’আতুল আবরার :
রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা রিভারভিউতে আজ থেকে মাত্র ৭ বছর পূর্বে হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম)-এর শায়খ হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আবরারুল হক হারদূয়ী (রহ.)-এর ইশারা ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল জামিআতুল আবরার নামে এক ব্যতিক্রমধর্মী ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রথম বছরেই এই জামিয়াতে জামা’আতে মীযান থেকে মিশকাত পর্যন্ত পাঠ আরম্ভ হয়ে যায়। দেখতে দেখতেই মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে এটি একটি দেশের বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে তথায় হেফজ বিভাগ এবং কিতাব বিভাগে জামা’আতে মীযান থেকে আরম্ভ করে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত নিয়মিত বিভাগ জারি রয়েছে। আবার কিতাব বিভাগে মুতাফাররাকা নামে একটি বিশেষ বিভাগও চালু রয়েছে। এ বিভাগে শুধুমাত্র হাফেজ ছাত্রদের ভর্তি করা হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে বর্তমান শিক্ষাবর্ষে ছয়শতাধিক ছাত্র ভর্তি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
মাদীনাতুল উলূম মাদরাসা বসুন্ধরা :
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পেই রয়েছে হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম)-এর তৃতীয় আরেকটি মাদরাসা মদীনাতুল উলূম মাদরাসা। এতে হেফজখানাসহ প্রাথমিক স্তর থেকে হেদায়া জামা’আত পর্যন্ত রয়েছে। বর্তমান শিক্ষাবর্ষে আড়াই শ’র মতো ছাত্র উক্ত মাদরাসায় ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আশরাফিয়া মাদরাসা গাজীপুর :
ঢাকার পরিচিত স্থান গাজীপুরে হজরতের প্রতিষ্ঠিত আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নাম “আশরাফিয়া মাদরাসা গাজীপুর।” এ মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার আজ মাত্র ৪ বছর। এখানে হেজফখানাসহ কিতাব বিভাগে প্রাথমিক স্তর থেকে মিশকাত জামা’আত পর্যন্ত মোট আড়াই শ’র মতো ছাত্রের ভর্তির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রত্যেক মাদরাসার নিয়মিত পড়া-লেখা গত ৬/৯/২০১২ পর্যন্ত আরম্ভ হয়ে গেছে। মারকাযে ৩/৯/২০১২ তারিখ সোমবার হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম) নিজেই ইফতিতাহী সবক পড়ান এবং দু’আ করেন। গত ৬-০৯-২০১২ইং তারিখে চট্টগ্রামের শুলকবহর মাদরাসা থেকে উসতাদ ও ছাত্রগণ ঢাকায় এসে ইফতিতাহী দরস নেন।
উল্লেখ্য, হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম)  মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর এ পর্যন্ত কোনো মাদরাসায় যেতে পারেননি। মাদরাসাগুলোর ভর্তিসহ যাবতীয় বিষয়ে পরামর্শের জন্য প্রত্যেক মাদরাসার মজলিসে ইলমীর সদস্যগণ গত ২৫-৮-২০১২ তারিখ থেকে ২৮-৮-২০১২ পর্যন্ত ভিন্নভিন্নভাবে হুজুরের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। হুজুরের সরাসরি দিকনির্দেশনা মতেই সকল মাদরাসার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
এক বার্তায় হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম) ভর্তি কার্যক্রম সুসম্পন্ন হওয়ায় সকল মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি শোকরিয়া আদায় করেন এবং সকল ছাত্র-শিক্ষকদের পড়া এবং পড়ানো আল্লাহর কাছে কবুলিয়্যাতের দু’আ করেন।

পবিত্র বুখারী শরীফ খতমের উদ্দেশ্যে
হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম)এর উত্তরবঙ্গ সফর

মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ বসুন্ধরার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং জামিয়া ইসলামিয়া (জামিল মাদরাসা) বগুড়ার মহাপরিচালক বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বী ফক্বীহুল মিল্লাত মুফতী আব্দুর রহমান সাহেব (দামাত বারাকাতুহুম) গত ১৪ জুন ২০১২ইং বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মাদরাসায় বুখারী খতম ও ইসলাহী ইজতিমার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ওই দিনেই তিনি বাদ মাগরিব শান্তাহার মাদরাসায় বুখারী খতম ও দু’আ করেন। ১৫জুন শুক্রবার জামিল মাদরাসায় বুখারী খতম ও দুআ করেন। জামিল মাদরাসা ঐতিহ্যবাহী একটি  কেন্দ্রীয় মাদরাসা। তাতে ছাত্রাবাস অপর্যাপ্ত হওয়া এবং পৃথক একটি শিক্ষাভবন না থাকায় হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দা.বা.) অনেক আগে থেকেই একটি শিক্ষা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করে আসছিলেন। সে অনুযায়ী গত ১৫/০৬/২০১২ইং শুক্রবার ২০০ল্ট৫০ ফুট পাঁচ তলা বিশিষ্ট ৫০ হাজার বর্গফুটের একটি শিক্ষাভবন নির্মান কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে আরম্ভ করেন এবং দুআ করেন। শিক্ষা ভবনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার জন্য সকলকে দুআ করতে বলেন।
১৬ তারিখ শনিবার তিনি দিনাজপুরের হিলি আনোয়ারুল উলূম মাদরাসা এবং নিউটাউন মাদরাসায় খতমে বুখারী করেন।  ১৭ তারিখ রবিবার রংপুর জামিয়া করিমিয়া নূরুল উলূম (জুম্মাপাড়া মাদরাসা) এবং জামিয়া আরবিয়া সৈয়দপুর এ বুখারী খতম এবং দুআ করেন। ১৮ তারিখ সোমবার নন্দিগ্রাম আশরাফুল উলূম উমরপুর মাদরাসায় ইসলাহী বয়ান করেন। এরপর নাটোরের জামিয়া কুরআনিয়ায় ইসলাহী বয়ান করেন।

হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দা. বা.) মর্মান্তিক দূর্ঘটনার কবলে:

(বেশ কজন পাঠক মাসিক আল-আবরার দপ্তরে পত্র ও ইমেইল মারফত অনুরোধ করেছেন, হুজুরের বাস্তব অবস্থা ও দূর্ঘটনা সম্পর্কে মাসিক আল-আবরারের মাধ্যমে জানানোর জন্য। এর ভিত্তিতে হুজুরের দূর্ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো।)
হুজুর ১৮ জুন ২০১২ইং সকালে নাটোরের জামিয়া কুরআনিয়ায় ইসলামী বয়ান শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। দুপুর ২:৪৫ মিনিটের দিকে যমুনা ব্রিজ পার হয়ে টাঙ্গইলের ভূঁয়াপুর নামক স্থানে হুজুরের গাড়ী একটি পিকআপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গাড়ীগুলো ধুমড়ে-মুচড়ে যায়। হুজুর গুরুতর আহত হন এবং সাথে আরো কয়েকজনের অবস্থাও আশংকাজনক হয়ে পড়ে। স্থানীয় ওলামায়েকেরাম ও মুহিব্বীনগণ খবর পেয়ে দৌড়ে আসেন এবং তৎক্ষণাৎ হুজুরকে অন্যান্য আহতদেরসহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশংকাজনক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুজুর ও আহতদের তড়িৎ ঢাকায় রেফার করে দেন। ওই দিন প্রায় বিকেল ৬টায় হুজুর ও অন্যদেরকে ঢাকার বসুন্ধরাস্থ এ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতাল চত্তরের দৃশ্য :
ওই দিন হাসপাতাল চত্তরের দৃশ্য ছিল অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। হুজুরের এম্বুলেন্স দূর থেকে দেখা মাত্রই বহু উলামায়ে কেরাম ও মুহিব্বীন এগিয়ে যান এ্যাম্বুলেন্সের দিকে। হুজুরের মুমূর্ষু অবস্থা দেখে এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন উপস্থিত সকলে।
চিকিৎসার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর  অবিলম্বে হুজুরকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়। ভর্তির পর পুরো বডি চেকআপ ও পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায় হুজুরের ডান উরুর হাড্ডি ভেঙ্গে গেছে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গ আঘাত প্রাপ্ত ও রক্তক্ষরণে দূর্বল হয়ে পড়লেও তুলনামূলক আশংকামুক্ত ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। হুজুরের চিকিৎসা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া বলেও জানিয়ে দেন তাঁরা।
দূর্ঘটনার খবরে অস্থির মানবতা :
এদিকে হুজুরের দূর্ঘটনার খবর পেয়ে দেশে বিদেশে ওলামায়ে কেরাম, মুহিব্বীন এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি হয়। মারকাযুল ফিকরিল ইসলামীর শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের মোবইল ও আলাপনী মুহুর্ত মুহুর্ত বেজে উঠা আরম্ভ করে। বর্তমানে হযরতের কি অবস্থা, দূর্ঘটনাটা কোথায় হলো, কিভাবে হলো ইত্যাদি প্রশ্ন সকলের। অপর দিকে বিভিন্ন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্র শিক্ষকদের নিয়ে দু’আয় নিয়োজিত হয়েছেন বলেও জানান অনেকে। দেশের ওপার তথা ভারত, পাকিস্তান, সৌদী আরব, আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, ওমান, দক্ষিন আফ্রিকা, ইটালী, ফ্রান্স, ল-ন, আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ওলামায়ে কেরাম, ভক্ত ও পরিচিত জনের ফোনের ধারাবাহিকতাও ছিল আরো আশ্চর্য জনক। কারো কারো কান্নার বিকট আওয়াজ, অনেকের হতাশার অভিব্যক্তির দীর্ঘ আলাপ, বেচাইন হালচাল ফোন রিসিভকারীদের অন্তরকে আরো বিদীর্ণ করে। কেমন যেন এক অমাবস্যা, ঝঞ্ঝা, বিক্ষুব্ধতার আবেশ বয়ে যায় মারকায ও তদসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর। মারকায, জামিয়াতুল আবরার, জামিল মাদরাসা বগুড়া, শুলকবহর মাদরাসা চট্টগ্রাম, মদীনাতুল উলূম মাদরাসা বসুন্ধরা, ঢাকা, আশরাফিয়া মাদরাসা গাজীপুর, মারকাযুল ইকতিসাদ বসুন্ধরা ঢাকাসহ সংশ্লিষ্ট সকল মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক ভগ্নহৃদয়ে দু’আ করতে থাকেন হযরত মুফতী সাহেব হুজুরের জন্য। এদিকে মুহিব্বীনদের অনেকে তাঁদের পরিবারকে নিয়ে দু’আতে বসে যান আপন আপন ঘরে।
পায়ের অপারেশন :
পর দিন সকাল থেকেই ডাক্তারগণ হুজুরের পা অপারেশনের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু হুজুরের হাই ডায়াবেটিসের কারণে অপারেশন করা সম্ভবই হচ্ছিল না। আল্লাহ তাআলার লাখো শোকর দুনিয়া ব্যাপী এই দু’আ ও কান্না আল্লাহ তা’আলার কাছে নিশ্চয়ই কবুল হয়েছে, তৃতীয় দিনই হুজুরের সফল অপারেশন সম্পন্ন হয়। হাসপতালে ভর্তির দশ দিনের  মাথায় হুজুরকে হাসপাতাল থেকে মারকাযে নিয়ে আসা হয়। তবে যেহেতু হাড্ডির বিষয় চিকিৎসা দীর্ঘদিন চালাতে হবে।
দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ী :
হুজুর যে গাড়ীতে ছিলেন তা ছিল প্রাডো। সংঘর্ষের মাত্রা ছিল এতই প্রচ-, সামনের ইঞ্জিনসহ পুরো সাইট ভেঙ্গে চুরমার হয়ে সামনের ছাকাগুলো থেতলে গেছে। হুজুর ছিলেন সামনের সিটে। যে কোন ব্যক্তি গাড়ীটি দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিল না এই গাড়ীর যাত্রীরা বেঁচে আছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা নিজের কুদরতী হস্তেই হুজুরকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
বর্তমানে হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বরাকাতুহুম) কে ই’তিকাফ করতে আসা সালেকীনের জামা’আত এবং তাদরীব নিতে আসা ছাত্রদের উদ্দেশ্যে মসজিদে  বেশ কবার ইসলাহী বয়ান করতে দেখা গেছে এবং তাদরীবের কোর্সেও যেতে দেখা গেছে। যদিও আগের ন্যায় নিয়মতান্ত্রিকতা রক্ষা করতে পারছেন না।
দু’আ করি আল্লাহ তা’আলা যেন হুজুরকে পুরোপুরি সুস্থতা ফিরিয়ে দেন এবং দীর্ঘ হায়াতে তায়্যিবা দান করেন। আমীন

এক বার্তায় হযরত ফক্বীহুল মিল্লাত (দামাত বারাকাতুহুম) আল্লাহর শোকর আদায় করেন এবং দেশ বিদেশের আলেম উলামা, মুহিব্বীন, ভক্ত-অনুরক্ত এবং পরিচিতজনদের শোকরিয়া আদায় করেন। ব্যাপক ভাবে হুজুরের খোঁজ খবর রাখায় সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সকলের জন্য দু’আ করেন।